Wednesday, August 13, 2008

এই সেই হিরোশিমা :



ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি-“ ছোট্ট একটা দেশ জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ছারখার হয়ে গিয়েছিল, অ্যাটম বোমায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর দুটো। সে দেশ মাত্র কয়েক বছরে কি উন্নতি-ই না করেছে। পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম শক্তি……”ইত্যাদি ইত্যাদি। মনে পরে বিখ্যাত অনুবাদ গ্রন্থ “হিরোশিমার মেয়ে” বইটার কথা, যেটা ওই বয়েসে তেমন না টানলেও কিশোরী নায়িকা ‘শুমিকো’ মনে বেশ দাগ কেটেছিলো। ইতিহাস এ পড়া হিরোশিমা , নাগাসাকি শহর দুটো সব মিলিয়ে তাই মনে বেশ একটা রোমাঞ্চকতার ছোঁয়া এনে দেয়। সেই জন্যই জাপানে এসে প্রথম ছুটিতেই হিরোশিমার প্ল্যান করে ফেললাম, সঙ্গে রইল ওসাকা-খ্যওটো-হোক্কাইডো। তাও আবার বছর শেষের ছুটিতে, যখন হিরোশিমা কাঁপতে থাকে তুষারপাতে। সঙ্গে আবার দশ মাসের শিশু!!

ইয়োকোহামা থেকে হাইওয়ে ধরে আমাদের বাস যাত্রা শুরু করল। সারারাত্রির যাত্রাপথ, খুব আরামদায়ক বাসের জন্য বেশ ভালই ঘুম হলো। ভোরবেলা ঘুম ভেঙে জানালার দিকে চোখ পড়তেই দেখি প্রবল তুষারপাত হয়ে চলছে। রাস্তাঘাট দ্রুত ঢেকে যাচ্ছে তুলোর মতো তুষার এ। বাস চলেছে হাইওয়ে দিয়ে, দুপাশে নীচু নীচু পাহাড় আর শুধু বরফ আর বরফ। আস্তে আস্তে বাস ঢুকে পড়ল শহরাঞ্চলে। একটা দু’টো ফ্যাক্টরী, গোডাউন চোখে পড়ল। রুদ্ধশ্বাসে তাকিয়ে আছি, এই বুঝি চোখ পড়ে অ্যাটম বোমার ধ্বংসাবশেষে। কই সবই তো ঝাঁ চকচকে নতুন নতুন অট্টালিকা!!

সকাল সাড়ে আট’টা নাগাদ এসে গেল গন্তব্য বাস স্টেশন। বাইরে প্রবল তুষারপাত, এতটা আশা করিনি। ছোট্ট মর্নিং’কে নিয়ে টেনশন এ পড়ে গেলাম। এত ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে তো??

যাই হোক ট্যাক্সি নিয়ে পৌঁছে গেলাম হোটেল (ডর্মি ইন) এ। হোটেল’টা নাকি “হিরোশিমা অ্যাটমিক বম্ব ডোম” এর বেশ কাছেই! এই প্রসঙ্গে বলে রাখি হিরোশিমা নাম’টা সারা পৃথিবীর মানুষ জানে কুখ্যাত পারমানবিক বিক্ষেপণ-এর কারনে। হিরোশিমা জাপানের প্রধান ভূ-খন্ড হংশু দ্বীপ এর দক্ষিণ-পশ্চিম এ অবস্থিত একটি বিশাল ও বর্ধিষ্ণু জেলা। এর রাজধানী হিরোশিমাতেই হয়েছিলো পারমানবিক বোমা বিক্ষেপণ ১৯৪৫ সালের ৬ই আগষ্ট। হিরোশিমা শহর ছাড়াও এই জেলায় দেখার আছে বহুকিছু। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এখানকার বৈশিষ্ট্য। এছাড়া এখানে রয়েছে বহু বিখ্যাত সিন্থো (Shinto ) ধর্মীয় মন্দির এবং বীর সামুরাইদের ঐতিহাসিক পীঠস্থান ।

যাই হোক হোটেলে মালপত্র নামিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম । আজকের গন্তব্য ‘সানদানক্য উপত্যকা’ (valley)। হিরোশিমা শহরের মধ্যে দিয়ে বাস এ করে চলেছি, আকুল আগ্রহে বাস এর জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছি-সুন্দর শহর। অ্যাটমিক বোমা’র ধ্বংসাবশেষের কোনো চিহৃ’ই নেই। সম্পূর্ণ নতুন করে শহরটা’কে তৈরী করা হয়েছে। দু চোখ ভরে দেখতে দেখতে চললাম। এদিকে তুষারপাত বেড়েই চলেছে।

শহর ছাড়িয়ে বাস এগিয়ে চলেছে সানদানক্য উপত্যকা’র দিকে। তুষারপাত পরিণত হয়েছিলো প্রবল তুষারঝড়ে। রাস্তাঘাট বেশ কয়েক ইঞ্চি বরফের তলায় চাপা পড়ে গেল দেখতে দেখতে। একদিকে নদী, আরেকদিকে মাঠ,ঘাট, বাড়ীঘর। নদীর জল জমে বরফ। এদিকে আমাদের না আছে বরফের জুতো,না আছে এক্সটা কোনো বডি-ওয়ার্মার। মর্নিং এরও খুব কিছু এক্সটা পোটেকসন্ ছিল না, ওর কোট এর পকেটে শুধুমাত্র বডি-ওয়ার্মার দুটো পাউচ্ ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। আসলে আমরা এরকম প্রবল তুষারপাতের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ড্রাইভারও বলল, ‘আজকে সব দোকানপাট ও হোটেল বন্ধ ভারী তুষারপাতের জন্য, বরফের জুতো না থাকলে হাঁটা যাবে না পুরু বরফের মধ্যে দিয়ে’। অতএব আমরা যেন ফিরে যাই।

যাইহোক, বাস আমাদের নামিয়ে দিয়ে বরফের ভিতরে অদৃশ্য হয়ে গেল। হাঁটু পর্যন্ত বরফ। দু-তিনটে হোটেল আর দু-একটা দোকানপাট দেখা যাচ্ছে দূরে। সব কিছুর’ই ঝাঁপ বন্ধ । এদিকে খিদেও পেয়ে গেছে খুব, দুপুরের খাওয়াও হয়নি, হোটেলের দরজায় দরজায় নক্ করে অনুরোধ করলাম; যদি কিছু খাবার ব্যবস্থা করা যায় কিন্তু উত্তর একটাই ‘গোমেন নাসাই, গোমেন নাসাই’ (দুঃখিত,দুঃখিত)। তবে অবশেষে একটা ব্যবস্থা করা গেল। রাস্তার শেষে একটা গেস্ট-হাউস, অনেকটা পুরানো জমিদার বাড়ীর মতো। সেখানে আধুনিক এয়ার-কন্ডিশনের বদলে রয়েছে ফায়ার-প্লেস আর কেরোসিন হিটার………..উফফফফ একদম ভুতের গল্প না?? একদম সত্যি! ঘটনাটা যদিও গল্পের মতোই ঘটছিলো, একজন বয়স্ক ভদ্রমহিলা বেড়িয়ে এলেন এবং আমাদের প্রতি করুণাবশতঃ (হয়ত সঙ্গে ছোট্ট শিশু রয়েছে বলেই) আমাদের বসতে দিলেন রিসেপশনে। বাড়িয়ে দিলেন কেরোসিন হিটারের উত্তাপ । আমরাও শরীর ও মনের উষ্ণতা একটু ফিরে পেলাম। গুছিয়ে বসতেই পেটের খিদে আরো মোচর দিয়ে উঠল। ভদ্রমহিলা’কে আধো আধো জাপানিজ ভাষায় সে কথা জানাতে উনি আকারে ইঙ্গিতে যা বললেন তা হল ‘খাবার তো কিছু পাওয়া যাবে না, তবে দেখি যদি সামান্য কিছু ব্যবস্থা করতে পারি তোমাদের জন্য’। বেশ কিছুক্ষণ বাদে প্লেট ভর্তি ‘মোচি’ (হাতে তৈরী মিষ্টি বিন্ এর পিঠে) আর গরম গরম সবুজ চা হাজির করল আমাদের সামনে। এমন আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। অনেক অনুরোধ স্বত্ত্বেও কোনো পয়সা কিন্তু নিলেন না উনি। জাপানেও তাহলে আমাদের দেশের মতই ‘অতিথি নারায়ণ’। যাই হোক যথা সময়ে বাস এসে গেল, আমরা সানদানক্য উপত্যকা’কে টাটা জানিয়ে হিরোশিমা শহরের দিকে রওনা হলাম । তুষারঝড় তখনও হয়েই চলেছে, সব মিলিয়ে সানদানক্য উপত্যকা একটা আশ্চর্য্য অভিজ্ঞতা।

পরদিন সকালে বেড়িয়ে পড়লাম মিয়াজিমার উদ্দেশ্যে। হিরোশিমা জেলার সব চাইতে সুন্দর দ্বীপ এটা।“ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট” হিসাবেও পৃথিবী খ্যাত। ৭০’এর দশকের বিখ্যাত হিন্দি সিনেমা “লাভ ইন টোকিও” এর অনেক দৃশ্য এখানের শ্যুট হয়েছিল । ট্রাম এ করে মিয়াজিমা গুচি গিয়ে, সেখান থেকে ফেরীতে “সেতু উপসাগর” পার হয়ে অপূর্ব সুন্দর মিয়াজিমা দ্বীপ (আইল্যান্ড)। মিয়াজিমা’তে পা দিয়েই দেখি যা ভেবেছিলাম তার চাইতেও অনেক সুন্দর এই দ্বীপটি। মিয়াজিমা দ্বীপটি প্রধানত বিখ্যাত এখানকার সিন্থো (shinto) ধর্মীয় মন্দিরগুলোর জন্য। জাপানিজ’দের এটি একটি পবিত্র পীঠস্থান। এখানেই আছে বিখ্যাত ইটশুকুশিমা মন্দির আর বিখ্যাত কাঠের সিংহদুয়ার, যা সিন্থ(Shinto)ধর্মের একটা বৈশিষ্ট্য। দুগ্ধ ফেনিল নীল সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে ইটশুকুশিমা মন্দির এ যাওয়ার রাস্তা। নববর্ষের (দিনটা ছিল ১লা জানুয়ারী) মেলা বসেছে সেখানে। রাস্তার ধারে ধারে হরেক রকম খাবার দাবার আর খেলনার দোকান। অনেকটা আমাদের দেশের পীঠস্থান গুলোর মতোই। আমরা খেলাম মশালাদার অক্টোপাস ভাজা, ঝলসানো সুস্বাদু ঝিনুক আর ওই অঞ্চলের বিখ্যাত এক ধরনের ঝলসানো বাদাম। দুপুরের খাওয়া’টা চমৎকার হলো ।


ইটশুকুশিমা মন্দির দেখে আমরা এগিয়ে গেলাম পঞ্চতল প্যাগোডার দিকে। গাঢ় লাল আর ঝলমলে সোনালী রঙের অপূর্ব সুন্দর স্থাপত্য এই প্যাগোডার। চেরী আর পাইন গাছের ফাঁক থেকে দূরে চোখে পড়ছিল পঞ্চতল প্যাগোডার চুড়া। ডিসেম্বর মাস তাই চেরী গাছ পুষ্পবিহীন। বসন্তকালে সাদা, গোলাপি চেরী ফুলে যখন ভরে ওঠে মিয়াজিমা দ্বীপ, তখন এর সৌন্দর্য্য অতুলনীয় আর ঐশ্বরিক হয়ে ওঠে। পঞ্চতল প্যাগোডা’র পাশেই অবস্থিত "Toyokuni Shrine". এই মন্দিরের সংগ্রহে রয়েছে কিছু দুষ্পাপ্য ‘সামুরাই’ চিত্রকলা।

এবার গন্তব্য হিরোশিমার আসল দ্রষ্টব্য ‘অ্যাটমিক বম্ব ডোম’ আর ‘বিশ্ব শান্তি সংগ্রহশালা’, এর জন্যই এত রুদ্ধশ্বাসে হিরোশিমা আসা। ফেরীতে করে আবার “সেতু উপসাগর” পার হয়ে ট্রাম-এ করে চলেছি। দূর থেকেই চোখে পড়ল ছবিতে দেখা ‘এ্যাটমিক বম্ব ডোম’ (জাপানিজ ভাষায় গেমবাকু ডোমু) এর চূড়া। চারপাশে পায়ের নীচে চেয়ে দেখি কই কোথাও তো চোখে পড়ছে না অ্যাটম বোমার ধ্বংসাবশেষের চিহৃ।‘অ্যাটমিক বম্ব ডোম’ আসলে একটা নামকরা প্রেক্ষাগৃহ ছিলো যার চূড়াতে ক্ষেপন করা হয়েছিলো বিশ্ব মানব ইতিহাসের সর্বপ্রথম পামানবিক বোমা, ১৯৪৫ সালের ৬ই আগষ্ট, সোমবার, এক সুন্দর রৌদ্রজ্জ্বল সকালে। মাইলের এর পর মাইল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেলেও এই প্রেক্ষাগৃহের কাঠামোটি কোনোরকমে টিকে থাকে। কারণ, পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণ কেন্দ্র থেকে বৃত্তাকারে ছড়িয়ে পড়েছিল চারপাশে, মূল কেন্দ্র’টিকে তুলনামুলক ভাবে অক্ষত রেখে। ‘আলোয়’ নদীর ধারে বিশাল ইট পাথরের কঙ্কালের মতো দাড়িয়ে থাকা কাঠামোটি বহন করে চলেছে মানবজাতির ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুরতার ইতিহাস। মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে দুঃখে ও লজ্জায়।

‘গেমবাকু ডোমু’কে ঘিরে জাপান সরকার গড়ে তুলেছেন বিশ্ব শান্তি উদ্যান। এই উদ্যানটির বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে রয়েছে পারমানবিক বোমায় নিহত প্রায় দেড় লাখ মানুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত নানা ধরনের সৌধ ও সংগ্রহশালা। এখানেই রয়েছে হিরোশিমার ‘বিশ্ব শান্তি সংগ্রহশালা’ (ওয়ার্ল্ড পিস্ মেমোরিয়াল মিউজিয়াম) যা দেখতে দেশ বিদেশের বহু মানুষ ছুটে আসেন। এখানে সংগৃহীত আছে বোমায় নিহত মানুষজনের ব্যবহৃত জিনিষপত্র, ঐতিহাসিক মুহুর্তটির কিছু দুষ্পাপ্য ফোটোগ্রাফ এবং আরো বহু নিদর্শন যা দর্শকদের কাছে পোঁছে দেয় পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণের ভয়াবহতার কাহিনী। এছাড়া সারা পৃথিবীর বর্তমান পারমানবিক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সাধারন মানুষকে অবহিত করার জন্য রয়েছে নানা ধরনের অডিও-ভিস্যুয়াল (Audio-Visual) প্রদর্শনীর আয়োজন।

এইসব উদ্যোগ বোমায় নিহত মানুষজনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের পারমানবিক শক্তির অপব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কেও ওয়াকিবহল করে তোলে এবং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে সমস্ত দর্শক। এভাবেই শান্তির বানী প্রচার করে চলেছে ‘গেমবাকু ডোমু’ ও ‘বিশ্ব শান্তি সংগ্রহশালা’। মিউজিয়াম দেখে যখন বাইরে এলাম তখন সন্ধ্যে নেমে এসেছে চারিদিকে মন খারাপ করা বিষন্নতা।

দেখা হল ঐতিহাসিক হিরোশিমা। পরদিন ভোরবেলা বাস। বিদায় জানালাম হিরোশিমাকে, সঙ্গে করে নিয়ে এলাম শান্তির বানী যা ছড়িয়ে পড়বে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।





তানিয়া রায় ভট্টাচার্য্য
ইয়োকোহামা(Yokohama), জাপান
৩১শে জুলাই, ২০০৮

10 comments:

Anonymous said...

Bhishon bhalo bornona diyechho Tania; chhokher shamne Hiroshimar chhobi fute uthlo.

শারদীয়া পুস্পাঞ্জলি said...

Bhishon shundor bornona diyechho tania, chhokher shamne Hiroshimar chhobi bheshe uthlo.

Shraddha.

Anonymous said...

daaruN sundar barnonaa. japan-er atithi paraayanata, hiroshima-r tragic itihaas khub sundar phute uthechhe. sange sundar chhabi. erakam lekhaa aaro chaai.

Anonymous said...

Anek ajana katha janlam tor lekhar modhey diye,Hirosima k amader chokher samne tule dhorechis jeno!!apurba bornana r chobi gulo...

Asim said...

Priya Tania,
Tomaar Hiroshima bhramaner kaahinee pore mone hochhilo je aamio oi tushhaar jharer madhye diye cholechhi aar taarpre sei bishbabikhyata maanabikataar itihaas hatyaakaaree Hiroshimaar saamane daarhiye aachhi. Eta sundar bhabe tomaar nijer aabeg o anubhuti mishiye tomaar ei bhraman kaahineer barnanaa diyechha Je seti jeebanta haye uthechhe. Aamraa eidharaner bhraman kaahinee Bangla Bodhur Blogey porte bisesh aagrahee. Tomaar jaapaan prabaaskaale tomaar oi khude Marningke niye tumi je ei weatherey okhane berate jete sahas korechho er janye tomaake ajasra sadhubad jaanaai. Tomaar sathe bandhutta korte aami khubi aagrahee.

Asim said...

Priya Tania,
Tomaar Hiroshima bhramaner kaahinee pore mone hochhilo je aamio oi tushhaar jharer madhye diye cholechhi aar taarpre sei bishbabikhyata maanabikataar itihaas hatyaakaaree Hiroshimaar saamane daarhiye aachhi. Eta sundar bhabe tomaar nijer aabeg o anubhuti mishiye tomaar ei bhraman kaahineer barnanaa diyechha Je seti jeebanta haye uthechhe. Aamraa eidharaner bhraman kaahinee Bangla Bodhur Blogey porte bisesh aagrahee. Tomaar jaapaan prabaaskaale tomaar oi khude Marningke niye tumi je ei weatherey okhane berate jete sahas korechho er janye tomaake ajasra sadhubad jaanaai. Tomaar sathe bandhutta korte aami khubi aagrahee.

Soma Banerjee said...

darun likhechhis re.... tor chokh diye onek kichhu dekhlam r janlam... r o lekh

Unknown said...

Thank you everybody for all your comments . Feeling inspired to write more :-)
Tania.

jhum said...

osadharon lekha tania. tomar lekha pore ekdike jemon mon bhore gelo opor dike dhongser itihas mon ke vison vabe bisonno kore tullo. tomar moner kotha bhromon kahini hisabe jerom sundor vabe futiye tulecho ta sotti prosongsar joggo.

Unknown said...

TANIA TOMAR LEKHA PORE SOTTI ABHIBHUTO.