Thursday, August 14, 2008

আল্পস্ পাহাড়ের শামোনি ভ্যালি :



শামোনি (Chamonix) ভ্যালি : এবার আমাদের গন্তব্য স্থল হল শামোনি ভ্যালি। ইটালি আর সুইজারল্যান্ডের বর্ডার ঘেঁষে ফ্রান্সের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত এই উপত্যকা। এটি ফ্রেঞ্চ আল্পসের মঁ ব্লাঁ ( Mont. Blanc ) অঞ্চলের একটি বিশাল, সমৃদ্ধ ও বর্ধিষ্নু উপত্যকা। এই জায়গাটিকে তাই অনেক সময় শামোনি মঁ ব্লাঁ বলা হয়।

শামোনি যাবার জন্য প্রথমে আকাশ পথে উড়ে যেতে হল প্যারিস থেকে জেনেভা। ট্রেনে চেপেও যাওয়া যেত, কিন্তু প্যারিস থেকে ট্রেন জার্নি ভীষন ক্লান্তিকর আর সময় সাপেক্ষ শুনেছিলাম। তাই আমরা ফ্লাই করার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্লেনে যদিও এক ঘন্টা সময় লাগার কথা, কিন্তু আগে পরের চেক ইন, চেক আউট সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৪ ঘন্টা লেগে গেল জেনেভা পৌঁছাতে। জেনেভা পৌছালাম প্রায় সকাল ১০ টায়। এর পর সেখান থেকে বাসে করে ( এটা একটা শেয়ার্ড বাস, হোটেল থেকেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, প্রাইভেট ট্যাক্সি বা বাসও পাওয়া যায়, কিন্তু তাতে খরচা অনেক বেশি।) ১ ঘন্টা জার্নি করতে হল শামোনি পৌছতে। পুরো রাস্তাটাই সবুজ পাহাড়ে ঘেরা, আর সুন্দর সাজানো সব ঘর বাড়ি। মাঝে মাঝে খরস্রোতা নদীর জলের শব্দ শোনা যাচ্ছিল, আর তার দেখাও মিলছিল, যদিও সে নদীর জল তিস্তার মতো নীল আর স্বচ্ছ নয়, একটু ঘোলাটে। তবুও বার বার মনে হচ্ছিল আমার অতি চেনা শহর শিলিগুড়ি থেকে সেভক বা মিরিক জার্নির কথা। পাহাড়ি রাস্তা আমার ভীষন ভাল লাগে। তবে আমার মনে হল আমাদের পাহাড়ের রাস্তাগুলো অনেক বেশি সুন্দর আর ভয়ঙ্কর। এই জায়গাটা সুন্দর ঠিকই, কিন্তু ভয়টা ছিল না। রাস্তা অনেকটা চওড়া, আর দুই দিকের পাহাড়ে বড় বড় তারের জালি দিয়ে পাহাড়কে যেন বেধেঁ রাখা হয়েছে।

শামোনি পৌঁছতে পৌঁছতে আমাদের প্রায় ১১ টার বেশি হয়ে গেল। তারপর হোটেলে ঢুকতে ঢুকতে প্রায় ১২টা। সেদিন এত ক্লান্ত ছিলাম যে ট্যুরিষ্ট অফিস থেকে সমস্ত ইনফরমেশন সংগ্রহ করে শামোনি ভ্যালিতেই শুধু ঘুরে বেড়ালাম।

পরদিন দেরি না করে সকাল সকাল বেরিয়ে পরলাম আগুই দি মিদি(Aiguille Du Midi) র উদ্দেশ্যে। ফ্রেঞ্চ আল্পস্ এর বিশাল এক অঞ্চল হলো মঁ ব্লা। এই অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গের নাম ও মঁ ব্লা (উচ্চতা ৪৮১০ মি)। অপেক্ষাকৃত ছোট একটা পর্বত শৃঙ্গ হল আগুই দি মিদি (উচ্চতা ৩৮৪২ মি)। প্রসঙ্গতঃ, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ সান্দাক্ফুর উচ্চতা ৩৬৩৬ মি। মজাটা হল যে কোনো রকম ট্রেকিং না করেই পৌছনো যায় আগুই দি মিদি পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায়। কেবল কারে করে। এই পর্বত শৃঙ্গ সম্পর্কে বলার আগে আমার মনে হয় এই কেবল কার সম্পর্কে কিছু বলা দরকার। এই কেবল কার টি তৈরি হয়েছিল ১৯৫৫ সালে। পৃথিবীর অন্যান্য কেবল কারের চেয়ে, এই কেবল কারটিই পাহাড়ে ওঠবার জন্যে ভার্টিকালি সর্বোচ্চ উচ্চতা অতিক্রম করে।


শামোনি ভ্যালি থেকে শুরু করে প্রথম দফায় কেবল কার টি নিয়ে যাবে প্ল্যান দু আগুই দি মিদিতে। এটা একটা সমতল জায়গা (উচ্চতা ২৩১৭ মি)। সবুজ পাহাড় এখানেই শেষ, এরপর উপরে শুধু বরফে ঢাকা কালো পাথরের পাহাড়। এখান থেকে এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মঁ ব্লা ট্রেকিং করে ওঠা যায়। মঁ ব্লা’য় ওঠার জন্যে কেবল কারের ব্যবস্থা নেই। এখান থেকে আগুই দি মিদি তে অন্য আর একটি কেবল কার এসে নিয়ে যাবে। শামোনি ভ্যালি থেকে আগুই দি মিদি (৩৮৪২ মি.) উঠতে সময় লাগল মাত্র ২০ মিনিট। আমি অবশ্য শুধু কেবল কারে যাওয়ার সময়ের কথা বলছি। মাঝে আধ ঘন্টা দ্বিতীয় কেবল কারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এই কেবল কার ভ্রমনটা ছিল ভীষন রোমাঞ্চকর, কিন্তু ভয়ঙ্কর নয় মোটেই।

আগুই দি মিদি পর্বত শৃঙ্গে উঠে দেখি কি নেই এখানে। দর্শকদের সমস্ত রকম সুবিধার কথা মাথায় রেখে এত ওপরেও বানানো হয়েছে খাবারের দোকান, শপিং, টয়লেট, আর সুন্দর প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে রাখা হয়েছে চারিপাশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্যে। একদম চূড়ায় পৌছানোর জন্য আছে লিফ্ট্ এর ব্যবস্থাও। এই লিফ্টটা একেবারে পাহাড়ের ভেতরেই বানানো হয়েছে। অবাক হয়ে যাই এদের টেকনোলজিকাল দক্ষতা দেখে। কিভাবে একটা পর্বত শৃঙ্গ কে সাধারন মানুষের কাছে এত সহজে পৌছে দেওয়া যায়, সেই প্রচেষ্টা দেখে। লিফ্ট এ করে চূড়ায় পৌছে দেখা গেল আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে কি অসাধারন স্বর্গীয় দৃশ্য ! এখান থেকে মঁ ব্লা পর্বত চূড়া পরিস্কার দেখা যায়। আগুই দি মিদি থেকে আর একটি কেবল কারে চড়ে Glacier de Geant অতিক্রম করে ইটালি সীমানাও যাওয়া যায়। এই কেবল কার টি শুধু গরম কালেই চলাচল করে। কিন্তু আমরা সময়ের অভাবে যেতে পারিনি ইটালি সীমানায়। আগুই দি মিদি কে সরাসরি ইংরেজিতে অনুবাদ করলে ‘Needle of midday’ বলা যেতে পারে। দুপুর বেলায় শামোনি থেকে সূর্য্য কে ঠিক এই পাহাড়ের চূড়ায় বসে থাকতে দেখা যায়, তাই এই নাম। যখন কেবল কারে চড়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম তখন ভেবেছিলাম, তাড়াতাড়ি নেমে এসে একটা গ্লেসিয়ার দেখতে যাব। কিন্তু ওপরে যে এত বিশাল বরফ ঢাকা পাহাড়ের সমুদ্র অপেক্ষা করে ছিল আমাদের জন্যে, তার বিন্দুমাত্র ধারনা ছিল না। চারিদিকে বরফ ঢাকা পাহাড়। অনেক নিচে শামোনি ভ্যালি দেখা যাচ্ছে। মাঝে মঝেই মেঘের কোলে ঢুকে পরছিলাম, আবার ঝিরঝির তুষারপাতও চলছিল সমান তালে। আমরা সবাই গরম কাপড় সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। তাই ভালই উপভোগ করতে পেরেছি মেঘ আর ঝিরঝির তুষারপাতের লুকোচুরির খেলা। কখনও মেঘ ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাদের, আবার কখনও বরফ বৃষ্টিতে মাথা ভিজিয়ে দিচ্ছে। চারিদিকের আলাদা আলাদা সৌন্দর্য। একদিকে গোটা পাহাড় বরফে ঢাকা। অনেকে সেখানে ট্রেকিং করছে, আর এক দিকে অনেক নীচে বয়ে চলেছে, পাহাড়ি নদী সবুজে ঘেরা পাহাড়ের ভেতর দিয়ে। সব মিলিয়ে অপূর্ব এক সুন্দর মন মাতানো অনুভূতি নিয়ে ফিরে এলাম। তখন আর অন্য কোনো জায়গা যাওয়ার সময় নেই। শামোনি ভ্যালি তেই সময় কাটিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম। পরদিন যাব গ্লেসিয়ার দেখতে।

নীচে শামোনি শহর আর আগুই দু মিদি পাহাড়ের কিছু ছবির স্লাইড শো দিলাম :

Photobucket

*****************************************************************

আজ সকাল থেকেই ভীষণ উত্তেজিত আমি, কারণ আজ দেখব গ্লেসিয়ার (হিমবাহ) দেখতে । যা এতদিন শুধু বই’তেই পরে এসেছি। মঁ ব্লাঁ অঞ্চলে অনেক গুলো গ্লেসিয়ার রয়েছে। যেমন Mer de Glace, Glacier d’Argentiere, Glacier des Bossons. এর মধ্যে আমরা সেদিন শুধু Mer de Glace (Sea of Ice) দেখতে পেরেছি। সকালে সেদিনও হোটেল থেকে প্রাতঃরাশ করেই বেরিয়ে পরেছিলাম। প্রথমে ট্রেন এ করে উঠতে হল পাহাড়ের ওপরে। এই জার্নি’টাও ভীষণ সুন্দর ছিলো, পাহাড়ের গা ঘেঁষে সবুজ বনানীর ভিতরে ছিলো রেললাইন। দুটো মাত্র কোচ নিয়ে এই ট্রয় ট্রেন চলছিলো একেবেঁকে। যাই হোক ট্রয় ট্রেনে করে ২০ মিনিট এর মধ্যে পৌঁছে গেলাম Mer de Glace glacier এর ফুটে। ওপর থেকে দেখে তো কিছুই বোঝার উপায় নেই, শুধু কালো পাথরের চাঁই ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছিল না। এখানে আবার ছোট কেবল কার এ চেপে নেমে যেতে হবে অনেকটা। এই ছোট কেবল কার গুলোকে এরা গন্ডোলা বলে। ১০ জনের বেশী একসাথে যাওয়া যায় না মনে হয়। যাইহোক নীচে তো নেমে এলাম, আর নামার পরে জানা গেল যে গ্লেসিয়ার’ কে সামনে থেকে দেখতে হলে এবার হেঁটে নামতে হবে ৩০০ টা সিঁড়ি। মানে আবার উঠতে হবেও অতটাই। ভেবে একটু ভয় পেলেও, নেমে পড়লাম জয় মা বলে। এখান থেকেই একটু আবহাওয়া বদলে গেল। বেশ বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। তাড়াতাড়ি নেমে এলাম গ্লেসিয়ারের সামনে, আর মনে হল, না এলে কি ভীষণ মিস্ করতাম। দূর থেকে যাকে কালো পাথর বলে মনে হচ্ছিল, সামনে থেকে দেখা গেল সেটা একটা নীল বরফের চাঙ্ক। এই হিমবাহটি লম্বায় ৭ কিমি আর এর গভীরতা হল ২০০ মিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪০০ মিটার ওপরে হল হিমবাহটির উৎসস্থল। ঘন্টায় ১ সেমি গতিতে বয়ে চলেছে এই গ্লেসিয়ার, সেটা খালি চোখে দেখা অসম্ভব। এটাই হল ফ্রান্সের সব থেকে বড়ো গ্লেসিয়ার। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এই গ্লেসিয়ার’টির ভেতরে ছোট্ট ছোট্ট গুহা বানিয়ে নানারকম বরফের স্ট্যাচু তৈরী করে তাতে লাইটিং-এর এফেক্ট দেওয়া হয়েছে। বরফের গুহার ভিতরে ঘুরে বেড়ানোর আরেকটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে যখন বেড়িয়ে এলাম তখন বৃষ্টি তো থেমেছে, কিন্তু শুরু হয়েছিলো ঝোড়ো হাওয়া। ওর মধ্যেই ধীরে ধীরে ফটো নিতে নিতে উঠে এলাম ঐ ৩০০ সিঁড়ি। এখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো, একটা ব্যাড নিউজ, জানা গেল যে ভীষণ ঝোড়ো হাওয়া বইছে, তাই এই সময় কেবল কার চলবে না, কখন ঠিক হবে তা কিছু বলা যায় না। অগত্যা কি আর করা? ৩০০ স্টেপ তো বেশ সুন্দর ছিলো, কিন্তু এবার যেটা করতে হলো, সেটা বলতে গেলে ভয়ানক, কারণ আমাদের হেঁটে উঠতে হলো ওই ৩০০ স্টেপ-এর দশগুন উচ্চতায়, আর সেই স্টেপ গুলো সব পাথরের, এবড়ো-খেবড়ো জায়গা, সরু গলি, নীচে খাদ। কিন্তু কিছুতো আর করার নেই, আমাদের উঠতেই হবে। একদম ছোটো বাচ্চাদের বাবারা কাঁধে তুলে নিলেও, বুড়ো দের জন্যে খুব খারাপ লাগছিল। ওই রাস্তায় ১ ঘন্টারও বেশী সময় লেগে গেল উঠতে, যেটা ৫ মিনিট এরও কম সময়ে নেমেছিলাম কেবল কারে চেপে। ওপরে এসে কিছু ছবি নিয়ে আবার ট্রয় ট্রেন এ চেপে সোজা হোটেল। পথ চলার শক্তি আর ছিলো না। আবহাওয়া তখনও খুব একটা ভালো হল না দেখে, আমরা আর অন্য গ্লেসিয়ার দেখতে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারিনি। আর তাছাড়া ট্যুরিষ্ট অফিস থেকে জানাল যে তখন আর গিয়ে কোনো লাভ নেই, কারণ ওই গ্লেসিয়ার’গুলো বেশ দূরে, যেতেই সময় লেগে যাবে ২ ঘন্টা। সুতরাং, ডিনার সেরে রাত্রের শামোনিকে উপভোগ করে ফিরে এলাম হোটেল রুমে।

নীচে গ্লেসিয়ারের ভিতরের আর বাইরের কিছু ছবির স্লাইড শো দিলাম :

Photobucket

শামোনি ঘুরতে গিয়ে যদি শুধু পাহাড় আর গ্লেসিয়ার দেখেই ফিরে আসতে হয়, তাহলে তিন দিন ভালই, অবশ্য ভাগ্য সহায় থাকলে। কারণ পাহাড়ে যখন তখন আবহাওয়া বদলে যায়, আর ঐ রকম ঝোড়ো হাওয়া চলতে থাকলে সমস্ত কেবল কার গুলো বন্ধ হয়ে যায়। তখন অনেকেই বাধ্য হয় থেকে যেতে।

কিন্তু যারা অনেক বেশী উদ্যমী ও সাহসী তাদের জন্য বলব ৭ দিনও যথেষ্ট নয়। আমরা কেবল একটা পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছি, আর একটি মাত্র গ্লেসিয়ার দেখেছি। কিন্তু শামোনি তে এইরকম অনেক চূড়া আছে যাতে ট্রেকিং করে ওঠা যায়। আর গ্লেসিয়ারের কথা তো আগেই বলেছি, অনেক গুলো গ্লেসিয়ার আছে। এছাড়াও আছে অনেকরকম অ্যাকটিভিটি, ট্রেকিং, স্কী রান, প্যারাগ্লাইডিং, আরো অনেক কিছু। কেবল কার-এ চড়ে পাহাড়ে উঠে, সেখান থেকে প্যারাস্যুটে জাম্পিং করার ব্যবস্থা আছে, যেটাকে প্যারাগ্লাইডিং বলে। বৃষ্টির সময় ইনডোর মাউন্টেনিং করার ব্যবস্থা আছে, তাছাড়া নানাভাবে পাহাড়ে ট্রেকিং করার উপায় বার করেছে এরা। আছে নানারকম স্কুল যেখানে স্কী করা বা এই সব জাম্পিং আর ক্লাইম্বিং শেখানো হয়। সব দেখে এনজয় করার জন্য কম করেও ৭দিন তো অবশ্যই দরকার।

Photobucket

এখানেই শেষ হল আমাদের শামোনি ভ্রমণ। আর শুরু হল আর এক নতুন জায়গা দেখার আগ্রহ। এখান থেকেই পরদিন সকালে যাব প্রথমে নিস্, ফ্রান্সের দক্ষিণে অবস্থিত মেডিটারিয়ান সমুদ্রের ধারে একটি বিখ্যাত ও ধনী শহর। তারপর সেখান থেকে যাব কান, মোনাকো, এবং মন্টি কার্লো (ফ্রেঞ্চ রিভেইরা)....ইত্যাদি ইত্যাদি। এর মধ্যে মোনাকো একটা ছোটো দেশ। অত্যাধিক রকমের ধনী শহর, চারিদিকে ক্যাসিনো দিয়ে ভরা। কিন্তু প্রবেশ করার ক্ষমতা সবার নেই। কিন্তু সে গল্প আজ নয়, পরে কোন এক দিন শোনাব। আজ এখানেই ইতি।



সুপর্না মিত্র
৮ই অগাস্ট, ২০০৮
প্যারিস, ফ্রান্স।

11 comments:

Anonymous said...

Darun laglo... ei obhignyata ar tar songe chhobi dekhte. ki darun jaigai je giechhile.

Unknown said...

photo gulo asadharon..

gpgardener said...

Khub shundor jayga - chhobi gulo o khub bhalo hoyechhe .. jabar ichha roilo :)

Unknown said...

ki sundor jaiga... r chobi gulo o osadharon... sunechilam ekhaner kotha french bandhobir kache.. tokhono bujhini jaigata koto sundor... jaor ichche bariye dile tumi

Asim said...

Priya suparnaa,
Asaadhaaran hayechhe tor Shyamoni bhramaner katha. Spell Bound hoyechhi tor chhabigulo dekhe ebang taar barnana shune. Sab dik diye bichar korle Jataguli Bhraman kaahinii lekha hoyechhe ebaarer Pujo msankhyate taar madhye tortai best. Tabe ei prasange tor ekta baktabyer opore matamat di. Cable car kimba liftey kore khub sahajei opore otha jaai kintu oi jaigata kasta kore othar aanander sathe kono tulanaai hoi naa. Hoito sab jaigate sadharan loker pokkhe sambhab noi. Bhab to Everest kimba Kaanchanjanga te loke Cable carey uthchhe. Bhabai uchit noi. Aami 1969 saale Noinital giyechhilam. Okhane besh kayekti peak aachhe chhotokhato. Aamar dui chhele chhoto chhila bole Mrs okhane jaai ni. Aneke guide niye chhele pule buro buri loker pithe chore okhane giyechhilo. Aami dui kaandhe dui camera jhuliye anekgulo peakey uthechhilam. Se ki aananda bhashay bojhate paarbo naa. Ekhan sekhane puro cable car hoye gechhe, puro charmtai chole gechhe mone hoi.
Seemaar maajhe aseem tumi baajaao aapan sur
Aamaar modhye tomaar prakaash taai eto madhur.

শারদীয়া পুস্পাঞ্জলি said...

Shamonir bornona jemon shundor, temni upri paona chhobir slide. Opurbo, ami mugdho hoye gechhi Suparnadi.

Unknown said...

chobi gulo ami barbar dekhechi..darun

Soma Banerjee said...

darun barnana suparna di... mone holo tomar sathe ami o berachhi

jhum said...

didi darun laglo tomar chokhe shyamoni ghurte. bornona to khubi sundor songe sotti bisal paona osadharon sob chobi jegulo dekhe ghore bosei manos bhromon hoye gelo.

Unknown said...

emon lekha poRle bhalo laGar theke beshi hingse hoy...aha, ami jodi...lekhar bhonGiTa eto antorik, je lekhika jokhon janalen, "amader sonGe Gorom jamakapar chhilo", onubhob korlam, oi gorom poshakgulo amaderO dorkar hoye porechhe...kimba brisTi, tusharpaat, ami/amra to okhaneO chhilam...odvut bhalo lekha...

tobu ninduk bole ekTa ovijoG..."khorosrota nodir joler" noy, "nodir" holei hoyto shobdoTa pouchhe jeto amader monone...

prochur shubhechchha...:)

KS said...

Khub sundor laglo, ar chhobi-r selection osamanyo. Mone holo tomar songe songei besh ghure elam. :)